শুটিংয়ের ফুল ফুটবে এবার বাংলার জেলাস্তরেও

যদি জিজ্ঞেস করা হয় ক্রিকেট ও টেনিসের পর কোন খেলায় ভারতের সফলতা বেশি, প্রায় অনেকেই বলবেন শুটিং ইভেন্টে। অভিনব বিন্দ্রা থেকে শুরু করে গগন নারাং, এমনকি বাংলার জয়দীপ কর্মকারও ভারতকে নানা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় পদক এনেছেন। সেই শুটিংকে মেট্রোপলিটন শহর থেকে মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলার সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও বুলস আই শুটিং আকাদেমি।

২৩ থেকে ২৬শে মে বাঁকুড়া জেলায় সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অনুষ্টিত হবে পঞ্চম ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্টার স্কুল শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ। আর এই শুটিং প্রতিযোগীতার ব্র‍্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন আয়ূষী পোদ্দার। এই আয়ূষী পোদ্দার ২০১৬ সালের জুনিয়র ওয়ার্ল্ড শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।

এই শনিবার, ১৯ মে তারিখে ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে এই প্রতিযোগিতার সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শুটিং সংস্থার সভাপতি ভি কে ধাল, কোষাধ্যক্ষ দেবদূত মুখোপাধ্যায়, সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার সরকার ও ডিরেক্টর অভিজিৎ মুখার্জি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বুলস আই আকাদেমির প্রধান প্রশিক্ষক পঙ্কজ পোদ্দার।

এবারের আন্তঃ স্কুল প্রতিযোগিতার আকর্ষণ হল বেঞ্চ রেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যা বাংলার রাইফেল শুটিং এ প্রথম। সেই বিষয়ে স্কুলের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার সরকার বলেন যে তারা খুবই উতসাহী এই প্রতিযোগিতার ব্যাপারে। বাঁকুড়ার মত প্রত্যন্ত জেলায় যেভাবে এই খেলাকে প্রচার করা হচ্ছে তাতে অত্যন্ত খুশি পশ্চিমবঙ্গ শুটিং সংস্থার সভাপতি ভি কে ধাল। ভারতের শুটিংয়ে বাংলাও যাতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে সেই কারণে তিনি চান এরকম উদ্যোগ যেন আরও নেওয়া হয়।

ব্র‍্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আয়ূষী পোদ্দার বেশ খুশি এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে। তবে স্কুলের ডিরেক্টর অভিজিৎ মুখার্জী চান আয়ূষী যেন তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের শুটিং এর ট্রেনিং দেন।

এর মাঝে প্রশ্ন এসেই যায়, বাঁকুড়ার মত তথাকথিত প্রত্যন্ত জেলায় এমন ব্যয়বহুল খেলার আয়োজন কেন করা হয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তরে পঙ্কজ কুমার সরকার জানান এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন তাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে, আর তাদের সকল ব্যয়ভার বহন করবে সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

আর সবশেষে বুলস আই শুটিং আকাদেমির হেড কোচ তথা আয়ূষী পোদ্দারের পিতা পঙ্কজ পোদ্দার জানান এই উদ্যোগের জন্য একান্তভাবে তিনি কৃতজ্ঞ সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কাছে এবং পশ্চিমবঙ্গ শুটিং সংস্থার কাছে। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ২০২০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের শুটার তিনি তৈরি করবেন আর তার শুভ সূচনা এই স্কুল ভিত্তিক প্রতিযোগিতা থেকে।