বিশ্বকাপের বাজারে উত্তপ্ত মোহনবাগান ক্লাব

দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার লড়াই, বার্ষিক সাধারণ সভায় সকলের সামনে এভাবে চলে আসায় মোহনবাগান ক্লাবের সম্মানহানী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

54

“এজিএম-এনুয়াল জেনেরাল মিটিং”, বাংলায় বললে বার্ষিক সাধারণ সভা। এই এজিএম কথাটি শুনতে যতই শান্ত-নিরিবিলি মনে হয়ে থাকুক আপনার। আদতে এই মিটিং আপনি সামনে থেকে দেখলে আপনার কাছে ভয়ানক বিভীষিকা হয়ে উঠতে পারে। আজ যেন তারই প্রমান দিতে উদ্ধত হয়ে উঠেছিল ক্লাবের দুই গোষ্ঠী।

লড়াই চলছিলো অনেকদিন ধরেই, তবে সেই লড়াই হিমালয়ের বরফের থেকেও শিতল লড়াই কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি এতোদিন।

একদিকে স্বপন সাধন বসু ওরফে টুটু বসুর গোষ্ঠী অপরদিকে অঞ্জন মিত্রের গোষ্ঠী। এই দুই গোষ্ঠীর লড়াই অবশেষে সামনে এলো! বিস্ফোরক হয়ে উঠলো মোহনবাগান ক্লাবের শীতল পরিবেশ। দুই গোষ্ঠীর সদস্য সমর্থক নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি হুমকি দিতেও কেউ পিছুপা হয়নি।

দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার লড়াই, বার্ষিক সাধারণ সভায় সকলের সামনে এভাবে চলে আসায় মোহনবাগান ক্লাবের সম্মানহানী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ঝামেলার দৌলতে সচিব অঞ্জন মিত্র সভা বন্ধের দাবী জানালেও টুটু বাবু তা মেনে নেন নি।

ঘটনার সূত্রপাত টুটুবাবু কে সভাপতি পদে নিযুক্ত করা নিয়ে। তিনি ক্লাবে এসে দেখেন যে ক্লাবে তার জন্যে সভাপতির চেয়ার রাখা হয়নি। তিনি প্রতিবাদ জানান এবিষয় এবং অপরদিকে অঞ্জন মিত্রের গোষ্ঠীর লোক টুটু বাবুকে সভাপতি হিসেবে মানতে নারাজ। ঘটনা এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে স্বয়ং সৃঞ্জয় বসু বিপক্ষ গোষ্ঠীর সমর্থককে সবার সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং মেগাফোন হাতে চেচিয়ে ওঠেন। চিৎকার করতে দেখা যায় স্বয়ং টুটু বসুকেও।

সভা শুরুর আগেই গণ্ডগোল সভার উদ্দেশ্যকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়।

টুটু বাবু তার বক্তব্য পেশ করার সময় জানিয়ে দেন যে এবছর ইস্টবেঙ্গল আই.এস.এল খেলবে! মোহনবাগানকেও আই.এস.এল খেলতে গেলে প্রয়োজন অর্থ এবং স্পনসর এর। প্রতি বছর ৪০ কোটি হিসেবে মোট ১০ বছরে ৪০০ কোটি টাকা যদি কোনো স্পনসর দিতে পারে তবেই আই.এস.এল খেলা সম্ভব।
তিনি এই ব্যাপারে সচিব অঞ্জন মিত্র একমত কিনা জানতে চাইলে, সচিব জানান স্পনসরর আসার পর বাকি ক্লাবের বাকি শেয়ার সদস্যদের জন্যে রাখার চেষ্টা করবেন।

আপাতত এই বিষয় শেষ সিদ্ধান্ত কিহবে তা এখনই জানা না গেলেও সভায় সদস্যদের কিছু দাবি কমিটির প্রতি, যা উল্লেখ করা অতিপ্রয়োজনীয়। সদস্যেরা জানান মহিলাদের জন্যে শৌচাগার, ক্যান্টিনের উন্নয়ন, ক্লাবের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানোর ব্যবস্থা করা হোক। শুধু তাই নয় ভোটের সময় যাতে গোপনীয়তা বজায় থাকে সেই দিকেও নজর দেওয়ার দাবী জানানো হয় সদস্য পক্ষ থেকে।

টুটু বাবু জানান তিনি চেষ্টা করবেন যাতে তিনি নিজে এইকাজগুলি করিয়ে ফেলতে পারেন।